গল্প: হারানো স্মৃতি |best romantic story harano smriti
হারানো স্মৃতি
অনামিকা ও অর্ঘ্যের অনেক দিন পর হঠাৎ দেখা।
অনামিকা: হাই!
অর্ঘ্য: তুমি!
অনামিকা: অনেক বছর পর দেখা তাই নাহ?
অর্ঘ্য: ঠিক সাত বছর আট মাস একুশ দিন পর।
হারানো স্মৃতি | best romantic story harano smriti |
অনামিকা: তোমার এতকিছু মনে আছে?
অর্ঘ্য: ভুলার মত তো কিছু নেই।
অনামিকা: ভালো আছো?
অর্ঘ্য: মন্দ নয়।
আশা করি তুমিও ভালো আছো!
অনামিকা: ভালো আছি।
তুমি এখানে কী ভাবে?
অর্ঘ্য: অফিস থেকে পোস্টিং করে এখানে পাঠিয়েছে।
অনামিকা: এই দেখো আমার মেয়ে।
অর্ঘ্য: বাহ্ খুব মিষ্টি তো।
কোথায় যাচ্ছো?
অনামিকা: মেয়েকে স্কুলে দিতে যাচ্ছি।
অর্ঘ্য: বাহ!!
বেশ সংসারী হয়েছো যে!
অনামিকা: হুম অনেক বড়ো সংসার।
অর্ঘ্য: মনে পরে এই সংসার নিয়ে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা?
অনামিকা: হুম আছে।
অর্ঘ্য: তোমার মেয়ের নাম কী?
অনামিকা: আরুহী।
অর্ঘ্য: বাহ্ নামটাও খুব মিষ্টি,
সবকিছুই ঠিকঠাক আছে।
অনামিকা: বিয়ে করেছো?
অর্ঘ্য: না।
অনামিকা: আমার ওপর অনেক অভিমান অনেক রাগ জমে আছে তাইনা।
অর্ঘ্য: সেটা সবার ওপর করা যায় না।
অনামিকা: এখনো কী কবিতা লিখো?
অর্ঘ্য: যার জন্য লিখতাম সেই তো হারিয়ে গেছে!!
কবিতা লিখে আর কি করবো বলো।
অনামিকা: নতুন কাউকে খুঁজো নি কবিতা লেখার জন্য?
অর্ঘ্য: কেউ তো পুরাতন হয়নি।
অনামিকা: মানে?
অর্ঘ্য: তাকে তো ভুলতে পারিনি!! তার স্মৃতি গুলো নিয়ে এখনো বেঁচে আছি।
অনামিকা: নতুন কাউকে খুঁজে নিতে পারো না!
অর্ঘ্য: নতুন কবিতা লিখতে চাই না।
অনামিকা: হাতে ঐ ডাইরীটা না!যেটাতে তুমি আমাদের স্বপ্ন আর তোমার কবিতা গুলো লিখতে।
অর্ঘ্য: হুম।
অনামিকা: এখনো লিখো?
অর্ঘ্য: না পুরোনো গুলোই পড়ি।
অনামিকার কান্না চোখে বলল: কেন তখন একটা চাকরি খুঁজতে পারোনি?
অর্ঘ্য: অনেক খুঁজেছি, সারাদিন এই অফিস ঐ অফিস ঘুরেছি কেউ দেয়নি।
কিছুক্ষন পর,
মা, চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে স্কুলের!
শেষ একবার দেখে চলে গেল অনামিকা।
দূরে যেতে যেতে অদৃশ্য হয়ে গেল।
"তুমি যে আমার অভ্যাসে মিশে
কী করে ভুলি বলতো তোমায়।"
সমাপ্ত।
কাহিনী-প্রিয়
ছবি - প্রিয়
কোন মন্তব্য নেই