সহবাসে নারীর শরীর থেকে ৪০ রকমের মজা পাওয়া সম্ভব । Healty marrage life
বিয়ের পর প্রথম কয়েকমাস বা বছরখানেক বিছানাটা যেন একটা যুদ্ধক্ষেত্র থাকে, তাই না? আবেগ, উত্তেজনা আর আবিষ্কারের এক উন্মাদ খেলা। কিন্তু তারপর? ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে থাকে, ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টায়, আর সেই যুদ্ধক্ষেত্রটা ধীরে ধীরে পরিণত হয় এক ঠাণ্ডা, শান্ত কবরস্থানে। যে মানুষটার গায়ের গন্ধে পাগল হতেন, তার স্পর্শে শরীরে বিদ্যুৎ খেলে যেত, আজ কেন তাকে এত পরিচিত, এত একঘেয়ে মনে হয়?
আপনারা কি ভেবে দেখেছেন, কেন এমন হয়? সমাজ, সংসার, দায়িত্ব—এগুলো তো থাকবেই। কিন্তু আসল কারণটা লুকিয়ে আছে আপনাদের নিজেদের ভেতরে, আপনাদের সেই চার দেয়ালের শোবার ঘরে, আপনাদের অভ্যাসের কারাগারে।
আজ আমি সমস্ত লজ্জার চাদর ছিঁড়ে ফেলে দেব। এমন কিছু বলব যা শুনে হয়তো আপনার কান গরম হয়ে যাবে, সঙ্গীর দিকে আড়চোখে তাকাতে বাধ্য হবেন, আর নিজের এতদিনের যৌনজীবনকে একটা মস্ত বড় ভুল বলে মনে হবে। প্রস্তুত তো?
ভুলটা কোথায় করছেন? আসল সত্যটা শুনুন!
আপনারা সেক্স করেন না, আপনারা রুটিন পালন করেন। ডিনার, তারপর দাঁত ব্রাশ, লাইট অফ, আর তারপর পাঁচ-দশ মিনিটের সেই একই পরিচিত শরীরচর্চা। একই বিছানা, একই পজিশন, একই সুরে বলা ভালোবাসার কথা। এটা ভালোবাসা নয়, এটা অভ্যাস। আর অভ্যাস আবেগকে হত্যা করে।
ভাবুন তো, আপনার প্রিয় বিরিয়ানি যদি আপনাকে রোজ তিনবেলা খেতে দেওয়া হয়, কেমন লাগবে? প্রথম দিন অমৃত, দ্বিতীয় দিন ভালো, এক সপ্তাহ পর বিষ! যৌনতাও ঠিক তাই। বৈচিত্র্যহীন যৌনতা মৃত্যুর সমান।
বিশ্বাস করুন, আপনার সঙ্গীর শরীরেই লুকিয়ে আছে এক অজানা মহাদেশ। এতদিন আপনি শুধু তার রাজধানীর কয়েকটা অলিগলিতেই ঘুরেছেন। আসুন, আজ সেই মহাদেশ আবিষ্কারের নতুন মানচিত্র তৈরি করি।
বিছানাটা আরামের জায়গা, উত্তেজনার নয়। ওটাকে ঘুমের জন্য তুলে রাখুন। আজ রাতেই চেষ্টা করুন করুন আপনাদের ড্রয়িং রুমের সোফাটায়। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ওই সোফায়, যেখানে বসে আপনারা একসাথে টিভি দেখেন, সেখানেই তৈরি করুন নতুন ইতিহাস। পরের দিন ফ্লোরে একটা নরম চাদর পেতে চেষ্টা করুন। শরীরের সাথে মেঝের ঠাণ্ডা স্পর্শ আর আপনাদের উষ্ণ নিঃশ্বাস—অভিজ্ঞতাটাই বদলে যাবে। রান্নাঘরের স্ল্যাবের ওপর—একটু সাহস করুন, দেখুন পাগলামির আগুন কোথায় গিয়ে লাগে! স্থান বদল মানে শুধু জায়গা বদল নয়, এটা মানসিকতার বদল। এটা জানায় যে, তোমাদের আকাঙ্ক্ষা কোনো নির্দিষ্ট স্থানের দাস নয়।
কে বলেছে সেক্স শুধু রাতেই করতে হয়? এটা কি কোনো অফিসের ডিউটি? ভোরের আলো ফোটার আগে, যখন পৃথিবী ঘুমে মগ্ন, তখন সঙ্গীকে জাগিয়ে দিন আদরে। সেই আধো ঘুম, আধো জাগরণের মধ্যে মিলিত হওয়ার যে তীব্র নেশা, তা সারাদিনের স্মৃতিকে রঙিন করে রাখবে। কিংবা কোনো এক অলস দুপুরে, যখন বাইরে গনগনে রোদ, তখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ডুব দিন একে অপরের মধ্যে। সময়ের এই অনিয়ম আপনাদের সম্পর্কে আনবে চরম রোমাঞ্চ।
একই মিশনারি বা ডগি স্টাইল করতে করতে কি ক্লান্ত? জানেন কি, একজন পুরুষের গোপনাঙ্গের অবস্থান মাত্র দশ ডিগ্রি বদলে গেলেই নারীর অর্গ্যাজমের অনুভূতি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বদলে যেতে পারে! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? আজই পরীক্ষা করে দেখুন। শুধু পজিশন নয়, অ্যাঙ্গেল বা কোণ বদলান। সঙ্গীকে বলুন তার শরীরটাকে একটু অন্যভাবে বাঁকাতে। আপনিও নিজের অবস্থান সামান্য পরিবর্তন করুন। দেখবেন, পরিচিত শরীরেও আপনি খুঁজে পাচ্ছেন সম্পূর্ণ নতুন এক জগৎ, নতুন এক অনুভূতি। একজন নারীর শরীর থেকে ৪০ রকমের মজা পাওয়া সম্ভব, যদি একজন পুরুষ আবিষ্কারকের মন নিয়ে তাকে জানতে চায়। চারটে বিয়ে করার দরকার হয় না, যদি আপনি একজন নারীর মধ্যেই চারশো নারীর স্বাদ খুঁজে নেওয়ার কৌশল জানেন।
যারা একসাথে গোসল করার সময় মিলিত হননি, তারা যৌনতার অন্যতম আদিম এবং শক্তিশালী রূপ থেকে বঞ্চিত। ঝর্ণার জল যখন আপনাদের দুজনের উষ্ণ শরীরে পড়তে থাকবে, সেই জলের শব্দ, পিচ্ছিল শরীর আর একে অপরকে আঁকড়ে ধরার তীব্র আকুতি—এটা শুধু সেক্স নয়, এটা একটা অভিজ্ঞতা। লজ্জা ঝেড়ে ফেলে আজই চেষ্টা করুন। কথা দিচ্ছি, এই স্মৃতি আপনারা ভুলতে পারবেন না।
আপনার মনে কি এখন হাজারো প্রশ্ন ঘুরছে?
"আমি কি এতদিন ভুল জানতাম?"
"আমার সঙ্গী কি এতে রাজি হবে?"
"এগুলো করা কি ঠিক?"
"আমার শরীর কি সঙ্গীর কাছে এখনো আকর্ষণীয়?"
যদি এই প্রশ্নগুলো আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে অভিনন্দন! আপনি সঠিক পথে আছেন। আপনি ভাবতে শুরু করেছেন। দ্বিধা, দ্বন্দ্ব—এগুলোই নতুন কিছু শুরু হওয়ার প্রথম লক্ষণ। আপনার যৌনজীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলুন, সঙ্গীর সাথে কথা বলুন। তাকে বলুন, "চলো না, আজ রাতে নতুন কিছু করি?" দেখুন তার চোখেও কি আপনার মতোই আগ্রহের আগুন জ্বলে ওঠে কি না।
আর হ্যাঁ, উত্তেজনার খেলায় লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করতে ভয় পাবেন না। এটা কোনো দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার একটা স্মার্ট কৌশল।
শেষ কথা হলো, আপনার বৈধ স্ত্রীর সাথে আপনার বেডরুমের সম্পর্ক যত বেশি রঙিন, বন্য এবং রোমাঞ্চকর হবে, বাইরের পৃথিবীর প্রতি আপনার আকর্ষণ ততটাই কমে যাবে। একজন পুরুষকে যদি তার স্ত্রী বিছানায় একজন "রাণী" এবং একজন "যৌন আবেদন ময়ী "—দুয়ের স্বাদই দিতে পারে, সেই পুরুষ আর অন্য কোথাও যাবে না। তার নিজের সাম্রাজ্যেই সে মত্ত থাকবে।
এবার সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি সেই একঘেয়ে, ঠাণ্ডা বিছানায় পড়ে থাকবেন, নাকি আজ রাত থেকেই নতুন করে আগুন জ্বালাবেন?
কোন মন্তব্য নেই